নিজেকে ফিট রাখার জন্য জিম বা ওয়ার্ক আউট খুব দরকার। কিন্তু জিমের পর অনেকেরই প্রচুর ঘাম হয়, এমনকি তুমি ঘরে বসে হালকা ওয়ার্ক আউট করলেও ঘাম হতে পারে। এতে সব থেকে বেশি প্রবলেম হয় চুল নিয়ে। কারণ স্ক্যাল্প ঘেমে গেলে হেয়ার ফল আর স্ক্যাল্পে ইরিটেশন হতে পারে। কিন্তু ওয়ার্ক আউট বন্ধ করলে তো চলবে না। তাই জেনে নিতে পারো জিমের পর স্যোয়েটি হেয়ার কীভাবে ম্যানেজ করবে।
প্রতিদিন শ্যাম্পু না
প্রতিদিন জিম বা ওয়ার্ক আউটের পর শ্যাম্পু ইউজ করা যাবে না। কারন,শ্যাম্পু চুল ক্লিন রাখে কিন্তু বেশি ইউজে হেয়ার ও স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল ড্যামেজ হয় ও হেয়ার রাফ হয়ে যায়। সপ্তাহে ২ বারের বেশি শ্যাম্পু করা একেবারেই ঠিক না। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজিং প্রোডাক্ট যেমন কন্ডিশনার ,সিরাম ব্যবহার করতে পারো। এতে তোমার চুল হাইড্রেটেড থাকবে।
ড্রাই শ্যাম্পু
স্যোয়েটি হেয়ার ম্যানেজের জন্য ড্রাই শ্যাম্পু হতে পারে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাকে এটা ইউজ করতে হবে নিয়ম মেনে। ভেজা চুলে কোনো ভাবেই ড্রাই শ্যাম্পু অ্যাপ্লাই করা ঠিক না। এতে হেয়ারে একটা ক্যাকি ভাব আসবে। তাই প্রথমেই একটা মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে করে নিতে হবে। তারপর একটা ড্রায়ার দিয়ে ৩ মিনিট চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নাও। আরেকটা ইউজফুল টিপ হলো ওয়ার্ক আউটের আগে ড্রাই শ্যাম্পু ইউজ করা। তবে অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করা যাবে না। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার সাথে সাথেই জিম শুরু করতে পারো। কারণ ড্রাই শ্যাম্পু তোমার স্ক্যাল্পে তৈরি হওয়া ঘাম কমাতে হেল্প করবে।
কোল্ড ড্রায়ার
কোল্ড ড্রায়ার হেয়ার ফ্রেশ রাখতে অনেকটাই হেল্প করতে পারে। ড্রায়ারকে কোল্ড সেটিং এ দিয়ে হেয়ার রুটে ও ঘারের একটু উপরে ড্রাই করতে পারো। এতে ঘাম কমবে আর গরমে একটা সুদিং ফিলিং দেবে।
আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে প্রোকেক্ট
ঘামে থাকা সল্ট তোমার হেয়ারকে ড্রাই করে ফেলে স্পেশালি তুমি যদি সান লাইটের কাছে ওয়ার্ক আউট করো। তাই অয়েল, সিরাম, আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) রে থেকে চুল প্রোটেক্ট করে এমন স্প্রে ব্যবহার করতে ট্রাই করো। এতে চুল হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড থাকবে।
হেয়ার ফ্রেগ্রেন্স ইউজ
হেয়ার ফ্রেগ্রেন্স আছে এমন কন্ডিশনার বা ক্রিম চুল এলোমেলো না করে গোছানো ও হাইড্রেটেড রাখবে। এমন নারেশিং কন্ডিশনারে ক্যারাটিন সিল্ক অয়েল ও শাইন ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে কিনা চেক করে নিতে পারো। আর এর ফ্রেগ্রেন্স বা ঘ্রাণ তোমার পছন্দ মতোই বেছে নাও। নারেশিং কন্ডিশনারের ফ্রেগ্রেন্স তোমার চুল রাখবে রিফ্রেশিং।
হেয়ার টাচ না করা
ওয়ার্ক আউটের সময়ে বার বার হাত দিয়ে হেয়ার টাচ করা যাবে না । এতে স্ক্যাল্পে অয়েল প্রোডাকশন বাড়ে।
হিজাব পড়লে
হিজাব পড়লে স্ক্যাল্পের সাথে সাথে হিজাবও ঘেমে যায়। তাই জিমের পর প্রতিদিন হিজাব ক্লিন করতে হবে। কারণ ভেজা থাকলে তাতে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়ে যায় এবং তা পরে ইউজ করলে স্ক্যাল্পে ইরিটেশন, র্যাশের মতো প্রবলেম হতে পারে। তাই সব থেকে ভালো টিপস কয়েকটা হিজাব রাখা যেন চেঞ্জ করে প্রতিদিন ভিন্ন একটা ইউজ করা যায়। আর অবশ্যই কটন হিজাব ইউজ করতে পারলে ভালো।
একটা হেলদি লাইফের জন্য জিম বা বাসায় ওয়ার্ক আউট খুবই জরুরি। কিন্তু এতে করে যেন হেয়ার ড্যামেজ না হয় তাই এই হেল্পফুল টিপসগুলো ফলো করতে পারো।