স্কিন কেয়ারে অ্যান্টি এইজিং উপাদান রেটিনল

স্কিন কেয়ারে অ্যান্টি এইজিং উপাদান রেটিনল

বয়স ৩০ পার হলেই স্কিন কেয়ারে আনতে হয় অনেক ধরনের চেইঞ্জ। কারণ তখন খুব দ্রুত স্কিনের পরিবর্তন হতে থাকে। আর এই ড্যামেজগুলো সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। এইজিং প্রবলেম খুব কমন বিষয়। তাই অনেক ধরনের অ্যান্টি এইজিং উপাদানই স্কিন কেয়ারের জন্য ইউজ করা হয়। এমনই একটি অ্যান্টি এইজিং উপাদান হলো রেটিনল।

রেটিনল কি 

স্কিন কেয়ারে রেটিনল ইউজ খুব নতুন একটি ট্রেন্ড। রেটিনল আসলে ভিটামিন ‘এ’ এর একটি ফর্ম। অনেকে একে ভিটামিন এ১ ও বলে থাকে। সিরাম, জেল বা ক্রিমে রেটিনল পাওয়া যায়। রেটিনল ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে হেল্প করে এবং স্কিন সেলের পরিমাণও বাড়ায়। মূলত রেটিনল হলো এক ধরনের রেটিনয়েড। যা ভিটামিন এ থেকে তৈরি হয়।

রেটিনল কীভাবে কাজ করে 

এইজিং স্কিনের প্রবেলমগুলো কমাতে অনেক প্রডাক্ট ডেড সেল রিমুভ করে ফেলে। কিন্তু রেটিনল কাজ করে কিছুটা অন্য ভাবে। স্কিনের সমস্যা কমাতে যে কোন উপাদানই স্কিনের গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। আর রেটিনল ঠিক এই কাজটিই করে। ত্বকের মাঝামাঝি গেলেই রেটিনল রেডিক্যালসগুলোকে নিউট্রেলাইজ করে যা কোলাজেন বাড়ায়। 

উপকার কি 

এইজিং স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে ফাইন লাইন, রিঙ্কেলস ও পোর বড় হয়ে যাওয়াই সব থেকে কমন। এ ছাড়া ব্রণের সমস্যাও কিন্তু বেশ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে এইজিং স্কিনের এই সমস্যাগুলো কমাতে স্কিন কেয়ারে ইউজ করা হয় রেটিনল। এ ছাড়া বাড়তি বয়সের স্কিনে রোদে পোড়া দাগ, আনইভেন স্কিন টোন, রোদে হওয়া ত্বকের ড্যামেজ, মেসতা, হাইপারপিগমেন্টেশন সমস্যা কমাতে উপকারি রেটিনল।  

কারা ব্যবহার করবেন   

রেটিনল এমন একটি উপাদান যা সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারি। এমন কি সুপার সেনসেটিভ ত্বকেও রেটিনল ইজিলি ইউজ করা যায়। এই উপাদানটি সবাই ব্যবহার করতে পারবে ঠিকই, তবে বেস্ট রেজাল্ট পেতে সঠিক নিয়ম জানতে হবে। 

retinol-as-anti-aging-property-in-skincare-02
 

কীভাবে ইউজ করবে 

ভালো স্কিন কেয়ার রুটিনের ব্যাকবোন বলা হয় রেটিনলকে। আর এটি প্রতিদিনই ইউজ করা যায়। তবে এই উপাদানটির সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ সিরাম ইউজ করলে রেজাল্ট পাওয়া যাবে দ্রুত। কারণ ভিটামিন সি সূর্যের কড়া রোদ, পলিউশন থেকে দিনের  সময় স্কিনকে প্রটেক্ট করবে। আর রেটিনল ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে এবং ড্যামেজ রিপেয়ার করতে হেল্প করে। তাই রেটিনল ইউজ করতে হবে রাতের সময়ে।  রেটিনল আছে এমন ক্লিঞ্জার দিয়ে রাতে ত্বক ক্লিন করলে পাওয়া যাবে রেটিনলের বেনিফিট। এ ছাড়া রেটিনল আছে এমন ময়েশ্চারাইজারও কিন্তু রাতের সময়ের স্কিন কেয়ার হিসেবে দারুণ।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্কিনে প্রবলেম তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তাই আজ থেকেই স্কিন কেয়ারে রাখতে শুরু করতে পারো এন্টি এইজিং উপাদান রেটিনল। 


রিলেটেড পোস্ট