পেতে হলে গ্লোয়িং স্কিন, চাই গুরুত্বপূর্ণ ৭টি ভিটামিন

পেতে হলে গ্লোয়িং স্কিন, চাই গুরুত্বপূর্ণ ৭টি ভিটামিন

গ্লোয়িং স্কিন কে না চায়! আপনার দুধে আলতা গায়ের রংও মলিন মনে হবে যদি চেহারায় কোনো গ্লো না থাকে। অনেক রূপচর্চা করেও কি চেহারায় কোনো গ্লো আসছে না? তাহলে আপনার স্কিনের যত্ন হওয়া চাই ভেতর থেকে। তা নয়তো অনেক ফর্সা ত্বকও সুন্দর লাগবে না। উলটো মুখ হয়ে থাকবে বিবর্ণ; ফ্যাকাসে। স্কিনের গ্লো কীভাবে পাবেন? গুরুত্বপূর্ণ ৭টি ভিটামিন মাথায় রাখুন। চলুন তবে দেখে নিই কোন কোন ভিটামিন ত্বককে করে তুলবে গ্লোয়িং আর আপনি হয়ে উঠবেন আরও বিউটিফুল!

 

গ্লোয়িং স্কিন পেতে গুরুত্বপূর্ণ যে ৭টি ভিটামিন

ভিটামিন সি

ভিটামিন সি শুধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না। এই ভিটামিন যে আমাদের ত্বকের যত্নেও কতটা উপকারী, তা কি জানেন? অনেকেই হয়তো জানেন না। ভিটামিন সি রেগুলার ব্যবহারে ত্বকের ব্রণ, ব্রণের দাগ তো দূর করতে সাহায্য করেই, সেই আমাদের ত্বকের নিচের লেয়ারে অতিরিক্ত তেল কন্ট্রোল করে, ত্বকের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্রণ হতে বাঁধা দেয়। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন প্রস্তুত প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে আর কোলাজেন ত্বককে রাখে টানটান ও উজ্জ্বল। তাই, ভিটামিন সি খাবার সাথে সাথে, আপনার রেগুলার ফেইস মাস্ক-এও যোগ করুন। লেবু, মধু, মসুর ডাল ত্বকের যত্নে খুব ভালো একটা ফেইস মাস্ক।

ভিটামিন এ

ভিটামিন এ ত্বকে গ্লো আনার জন্য ভিটামিন সি-এর মতোই আরেকটি কার্যকরী উপাদান। ভিটামিন-এ এর একটি অবস্থা হলো রেটিনয়েডস। এই রেটিনয়েডস স্কিনের ড্যামেজ হওয়া কোলাজেনকে পুনরুজ্জীবিত করে। আপনি কি জানেন অনেক ব্রণ দূর করার ঔষধে ভিটামিন এ রাখা হয়? কারণ, এই ভিটামিন ত্বকের প্রদাহ সমস্যার সমাধান করে। দুধ, মাছের তেল, সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।  

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। হেলদি স্কিন মেইনটেন করতে এই ভিটামিনের কোনো জুড়ি নেই। ত্বকের নিচের লেয়ারে যে তেল বা সেবাম উৎপন্ন হয়, তাতেও ভিটামিন-ই থাকে। এই ভিটামিন-ই স্কিনকে আর্দ্র রাখে ও ধরে রাখে কোমলতা ও মসৃণতা। ত্বকের যত্নে বাজারে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। আপনি চাইলে তা ব্যবহার করতে পারেন। আবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ সয়াবিন তেল, বাদাম ও বীজ, আখরোট ইত্যাদি।

 

ভিটামিন ডি

ত্বকে যে হারে কোলাজেন উৎপন্ন হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই হার কমতে থাকে। ফলে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা। আর ভিটামিন-ডি এই কোলাজেন উৎপন্নের হার বৃদ্ধি করে এই বলিরেখার সমস্যা সমাধান করে। দুধ, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস।

ভিটামিন কে

ভিটামিন-কে স্কিনের যত্নে ম্যাজিক্যাল একটি উপাদান। এই ভিটামিন স্কিনের যত দাগ, গর্ত দূর করে দেয়। হেলদি স্কিন পেতে ভিটামিন কে অনেক জরুরি। প্রতিদিন ভিটামিন কে হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন মাছ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডিম ইত্যাদি।  

ভিটামিন বি৩

ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি৩ ঠিক যেন যাদু দেখায়। ভিটামিন বি৩-এর একটি অবস্থা হলো নিয়াসিনামায়িড। অনেক ডার্মাটোলোজিস্ট ত্বকে ব্যবহারের জন্য নিয়াসিনামাইড ব্যবহার করতে বলেন। এই ভিটামিন বি৩ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে ত্বককে করে মসৃণ ও কোমল। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে এই ভিটামিন ধরে রাখে তারুণ্য। গ্লোয়িং স্কিন পেতে ভালো মানের নিয়াসিনামাইড ব্যবহার করতে সাহায্য নিতে পারেন ডার্মাটোলোজিস্ট-এর। আর খাবার তালিকায় ভিটামিন-বি৩ পেতে খাদ্য তালিকায় রাখুন সবুজ শাক-সবজি, বাদাম ও বীজ, মাংস ইত্যাদি।

ভিটামিন বি৫

নিশ্চ্য়ই ভাবছেন ভিটামিন বি৩ এর পর ভিটামিন বি৫ আবার কী কাজে লাগবে, তাই না? এই ভিটামিন ত্বককে করে ভেতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল। আর ভিটামিন-বি৫ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বক কুঁচকে যাওয়া ও বলিরেখার মতো ত্বকের সমস্যা রোধ করে। ভিটামিন বি৫ কিন্তু প্যানটোথেনিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত! খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি৫ রাখতে দুধ, মুরগির মাংস, সবজি প্রভৃতি রাখতে পারেন।  

 

এখন থেকে গ্লোয়িং স্কিন নিয়ে আর চিন্তা নেই! প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ সব ভিটামিন ত্বকের যত্নে রাখুন ও উৎফুল্ল থাকুন আপনার হেলদি, গ্লোয়িং স্কিন নিয়ে। আপনার আগামী দিনগুলো কাটুক আপনার মতো বিউটিফুল! 


রিলেটেড পোস্ট