হেলদি স্কিন পেতে ইজি স্টেপে সাজাও তোমার স্কিনকেয়ার রুটিন

হেলদি স্কিন পেতে ইজি স্টেপে সাজাও তোমার স্কিনকেয়ার রুটিন

স্কিন কেয়ারে চাই কুইক এবং ব্যালেন্সড রুটিন। তবে এতোসব সাজেশনস প্রোডাক্টের থেকে নিজের জন্য একটা রুটিন সেট করা অনেকটাই কষ্টকর। তার উপর স্কিনকেয়ারের জন্য রেগুলার কেউই ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে চায় না, সুযোগও হয়ে ওঠে না।

তোমার কাছে কি স্কিনকেয়ার মানেই ঘণ্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে, অসংখ্য প্রোডাক্ট ইউজ করার ভীতি? ইজি স্টেপে, অল্প কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করে স্কিনকেয়ার রুটিন সেট করতে চাচ্ছো?

 

তবে তোমার জন্যই বিবিউটিফুলবিডি নিয়ে এসেছে স্কিনকেয়ারের ৫টি ইজি স্টেপ, যা তোমার রুটিনে এড করে পেতে পারো হেলদি, ক্লিন এবং ফ্রেশ স্কিন।

 

১। ক্লেনজিং

 

স্কিন কেয়ারের প্রথম স্টেপেই রাখা চাই ক্লেনজিং। কারণ স্কিন ক্লিন করা ছাড়া কোনোভাবেই তোমার স্কিন কেয়ার শুরু করতে পারবে না। ক্লেনজিং স্কিনকে ডিপলি ক্লিন করে এবং সারাদিন স্কিনকে রাখে এক্সট্রা ডার্ট ফ্রি। পাশাপাশি মেকআপ রিমুভ করার জন্যও ক্লেনজিং বেশ হেল্পফুল।

 

ঠিকমতো ক্লেনজিং না করলে স্কিনে ব্রেকআউট হতে পারে, ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে এবং আর্লি এজিং-এর পসিবিলিটিও বেড়ে যেতে পারে। সারাদিনের অল্প সময়ের ফাঁকে দিনে অন্তত দুইবার স্কিন ক্লিন করে নিতে পারলে ডেইলি স্কিনকেয়ার রুটিনে পাবে ভালো রেজাল্ট।

 

 

২। টোনার

 

টোনার মূলত স্কিনকেয়ারের মধ্যবর্তী ধাপ। ফেইস ওয়াশ করার পরে এবং সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার ইউজ করার আগে টোনার ইউজ করা হয়। টোনার স্কিনের এক্সট্রা অয়েলিভাব দূর করে এবং স্কিনের ডেডসেলস উঠিয়ে রাখে হাইড্রেটেড এবং স্মুথ। ময়েশ্চারাইজেশনের আগে স্কিনে টোনার ইউজ করলে স্কিন হয়ে ওঠে আরও সফট।

 

টোনার ইউজ করতে একটি কটন প্যাড টোনারে ভিজিয়ে নাও। এরপর মুখ, গলা, ঘাড় ভালো করে মুছে নিলেই হয়ে যাবে প্রোপার ক্লিন।

 

৩। সিরাম

 

স্কিনের যে কোনো বেনিফিটের জন্য সিরাম খুব উপকারী একটি সলিউশন। সিরাম আমাদের স্কিনের পোরস ক্লিন করে এবং পোরসের মাঝে প্রবেশ করে স্কিনকে করে সফট আর ফ্রেশ।

তবে অবশ্যই স্কিন টাইপ বুঝে সিরাম বেছে নিতে হবে।

 

সিরাম ব্যবহারও বেশ সহজ। হাতে অল্প পরিমাণ সিরাম নিয়ে ফেইসে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে নাও। স্কিন তাড়াতাড়িই পুরো সিরাম শুষে নিবে। সিরাম লাগানোর পর কিছুক্ষণ ওয়েট করে এরপর অন্য প্রোডাক্ট ইউজ করবে।

 

৪। ময়েশ্চারাইজিং

 

স্কিন টাইপ যেমনি হোক না কেন সবারই ময়েশ্চারাইজার ইউজ করা উচিত। রেগুলার স্কিনকেয়ার রুটিনে এড করার জন্য ময়েশ্চারাইজার একটি দারুণ প্রোডাক্ট। ময়েশ্চারাইজেশন স্কিনের ওভারঅল স্টাকচার ভালো রাখে। এমনকি ময়েশ্চারাইজার আপনার স্কিনকে হাইড্রেটেড এবং ফ্রেশ রাখতেও হেল্প করে।

 

ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে ভিটামিন , গ্লিসারিন, প্রো-ভিটামিন বি 5 এর মতো উপাদানগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। এই উপাদানগুলো যেকোনো স্কিনের জন্যই বেশ ভালো।

 

৫। মাস্ক এবং এক্সফোলিয়েট

 

স্কিন একটু অয়েলি হলে ডিপ ক্লেনজিং ক্লে মাস্ক তোমার জন্য বেস্ট। স্কিনের পোরস বন্ধ হওয়া কমিয়ে স্কিনে জমা ময়লা ক্লিন করতে ডেডসেলস রিমুভ করতে হেল্প করে মাস্ক। এছাড়া এক্সফোলিয়েটও একইভাবে স্কিনে জমা ডার্ট ডেডসেলস রিমুভ করে।

 

আর এক্সফোলিয়েট করার সময় মুখের হেয়ার লাইনের অংশগুলোতে দরকার এক্সট্রা কেয়ার। স্পেশালি তোমার ঘাড়, কানের চারপাশের অংশগুলোতে। কারণ এই অংশগুলোতে প্রায়ই মেকআপ অন্যান্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট জমে থাকে।

 

একটি ইজি হেল্পফুল স্কিনকেয়ার রুটিন সেট করার জন্য এই ৫টি স্টেপই যথেষ্ট। যা যেকোনো স্কিন টাইপেই ভালো কাজ করবে। সপ্তাহে একবার বা দুবার এই স্টেপগুলো ফলো করে নিজের স্কিনকেয়ার শুরু করো আর পেয়ে যাও ক্লিন, ফ্রেশ, হেলদি স্কিন


রিলেটেড পোস্ট