পাতলা ও ফ্ল্যাট চুলের জন্য সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন

পাতলা ও ফ্ল্যাট চুলের জন্য সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন

প্রতিদিন হিট স্টাইলিং, স্ট্রেস, আনহেলদি লাইফ স্টাইল, ব্যালেন্সড ডায়েটের অভাব এসব অনেক কারণেই চুলে বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। তার মধ্যে কমন একটি সমস্যা হলো, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের চুল জেনিটিক্যালিও পাতলা হয়। আর চুল পাতলা হওয়ার কারণে, ভলিউম কমে যায়, ফ্ল্যাট ও ডাল দেখায় আর তেমন কোনো হেয়ারস্টাইলও করা যায় না। তাই পাতলা চুলে ভলিউম আনতে এবং হেলদি ও সুন্দর রাখতে একটা প্রোপার হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলা দরকার। আমার আজকের এই হেয়ার কেয়ার রুটিনটি তোমার পাতলা চুলের সব সমস্যা সহজেই কমিয়ে দিবে।

 

সপ্তাহে ২ দিন আর্গান অয়েল 

রেগুলার অয়েল ম্যাসাজ, স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন ও অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়ায়। আর এতে চুলের গ্রোথ ও থিকনেস ভালো থাকে। তবে হেয়ার টাইপ পাতলা হলে, অয়েল ম্যাসাজের পর চুল আরও গ্রিসি ও ফ্ল্যাট হয়ে যায়। একারণে অনেকেই চুলে অয়েল অ্যাভয়েড করে। এসব সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে আর্গান অয়েল! আর্গান অয়েল নন গ্রিসি হওয়ায় চুলে ভারি ফিল হয় না। এর এর ভিটামিন ই চুল দারুণভাবে ময়েশ্চারাইজ করে।

 

Hair Care Routine for Thin and Flat Hair - 02

 

চুলে ভলিউম আনতে অ্যালোভেরা মাস্ক

অ্যালোভেরা চুলের জন্য একটি ম্যাজিকাল ইনগ্রিডিয়েন্ট! এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা চুল নারিশ করে এবং হেলদি রাখে। সপ্তাহে একদিন এই অ্যালোভেরা মাস্কটি তোমার চুলে ভলিউম আনবে, পাশাপাশি গ্রোথও বাড়াবে।

যা যা লাগবেঃ 
-    অ্যালোভেরা জেল ১ কাপ  
-    ক্যাস্টর অয়েল ২ টেবিল চামচ 
প্রথমে অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নাও ১ কাপের মতো। এবার এর সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নাও। মাস্কটি স্ক্যাল্প ও সম্পূর্ণ চুলে অ্যাপ্লাই করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে দাও। ১-২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলো।

 

প্রয়োজন বুঝে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার

অতিরিক্ত শ্যম্পু ও কন্ডিশনার চুল গ্রিসি ও ফ্ল্যাট করে দেয়। তাই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার হতে হবে তোমার চুলের পরিমাণমতো। এছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের ন্যাচারাল অয়েল ধুয়ে যায়। আর স্ক্যাল্প আগের চেয়ে বেশি অয়েল প্রোডাকশন শুরু করে। যার ফলে আরও বেশি গ্রিসি ও ফ্ল্যাট হেয়ার! তাই তোমার লাইস্টাইল ও বাইরে বের হওয়ার উপর ডিপেন্ড করে সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করতে পারো। শ্যাম্পু  সিলেকশনের আগে দেখে নাও, তা মাইল্ড ও চুলে ভলিউম দেয় কি না। আর অতিরিক্ত হার্স (harsh) প্রোডাক্ট অ্যাভয়েড করতে চেষ্টা করো। কারণ এগুলো চুলের ন্যাচারাল অয়েল নষ্ট করে চুল ড্রাই ও ফ্ল্যাট করে ফেলে। নিষ্প্রাণ  ও ফ্ল্যাট চুলের জন্য সানসিল্কের Coconut and Aloe Vera Volume এই নতুন শ্যাম্পুটি ট্রাই করে দেখতে পারো। নাম শুনেই বুঝতে পারছো, এটি চুলের ন্যাচারাল ভলিউমের জন্য স্পেশালাইজড! হ্যাঁ, এতে থাকা অ্যালোভেরা ও কোকোনাট চুলে ন্যাচারাল ভলিউম ও বাউন্স আনতে খুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল নারিশড ও হেলদি রাখতে অনেক হেল্পফুল।

 

নিয়মিত ট্রিমিং

আগা ফাটা পাতলা চুলের আরেকটি কমন সমস্যা। আগার দিকের চুল পাতলা ও ড্রাই হয়, আর সহজেই ফেটে যায়। তাই প্রতি ৬-৮ উইক পরপর অবশ্যই চুল ট্রিম করে নিবে। এছাড়া চুল যত লম্বা হয়, গ্র্যাভিটি তা তত নিচের দিকে টানে! এতে চুলের ভলিউম কমে যায়। তাই পাতলা চুলের জন্য শর্ট বা মিডিয়াম লেন্থ সবচেয়ে ভালো। 

ফাইনালি, ফুড হ্যাবিট। হয়তো ভাবছো, “হেয়ার কেয়ার রুটিনে আবার ফুড হ্যাবিট কেন?” কারণ হলো, আমরা যা খাই তার রিফ্লেকশনই চুলে দেখতে পাই! তাই তোমার ফুড হ্যাবিট যদি হেলদি হয়, চুলও হেলদি থাকবে।
 


রিলেটেড পোস্ট