ন্যাচার আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু! আমরা অনেকেই এখন এটা বুঝতে শুরু করেছি। হেলথ, বিউটিসহ আরও অনেক কিছুর চমৎকার সলিউশন ন্যাচারের মধ্যে আছে। তাই বিউটি প্রোডাক্টেও আমরা ক্যামিকেল ফ্রি, ন্যাচারাল ও অর্গানিক সলিউশন খুঁজছি।
তবে অনেকেই মনে করে ন্যাচারাল ও অর্গানিক বিউটি প্রোডাক্ট মানেই খুব দামি বা এক্সপেন্সিভ! কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই কিছু ন্যাচারাল উপাদান আছে, যেগুলো অনেক বড় বড় বিউটি প্রবলেমের সহজ সলিউশন দেয়।
মধু তেমনি একটি ম্যাজিকাল ন্যাচারাল উপাদান, যা স্কিনের জন্য ঠিক ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। পিম্পল, ড্রাই স্কিন, ব্ল্যাকহেডস, এইজিং ইফেক্ট এসব স্কিন প্রবলেমের সহজ সলিউশন মধুতে পাওয়া যায়। কীভাবে? চলো তাহলে জেনে নেই!
পোরস ক্লিন করে
অতিরিক্ত ডার্ট, অয়েল জমে থাকলে স্কিন পোরস বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অ্যাকনে, পিম্পল ও ব্ল্যাকহেডসের মতো প্রবলেম শুরু হয়। মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে। যা স্কিন পোরসে আটকে থাকা অয়েল ও ডার্ট ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং বন্ধ পোরস ওপেন করতে সাহায্য করে। মধু দিয়ে সহজেই এই ফেস মাস্কটি বানিয়ে নাও, আর রেগুলার ব্যবহার করে স্কিন রাখো অ্যাকনে ও পিম্পল ফ্রি!
যা যা লাগবে
- ১.৫ টেবিল চামচ মধু
- ১.৫ টেবিল চামচ চিনি
- ৩-৫ ফোঁটা লেবুর রস
ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো একসাথে মিশিয়ে নাও, আর প্রতি সপ্তাহে ১-২ দিন ফেস-এ অ্যাপ্লাই করো।
ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, “স্কিনের সবচেয়ে বড় শত্রু কী?” আমি বলবো, “ডেড সেল”! ডেড সেল জমে থাকলে স্কিন ডাল দেখায়, ড্রাই হয়ে যায় এবং গ্লো কমে যায়। এই শত্রুর সাথে ফাইট করার চমৎকার হাতিয়ার হতে পারে মধু! এটি ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ডেড সেল দূর করে এবং স্কিন সফট, স্মুদ ও গ্লোয়িং রাখে। পরিমাণমতো মধু ও চিনি একসাথে মিশয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নাও। স্ক্রাবটি দিয়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন ফেস ও বডি এক্সফোলিয়েট করো।
স্কিন হাইড্রেটেড রাখে
নরমাল, অয়েলি, ড্রাই সব ধরণের স্কিনেই ডিহাইড্রেশন দেখা যেতে পারে। স্কিনের উপরের লেয়ারে পানির পরিমাণ কমে গেলে স্কিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর ফলে স্কিন ডাল দেখায়, রাফ হয়ে যায়, আবার কখনও কখনও সেনসিটিভিটি ফিল হয়। মধু স্কিনে পর্যাপ্ত পানি ধরে রেখে স্কিন হাইড্রেটেড রাখে, এবং এর ময়েশ্চারাইজিং উপাদান স্কিন সফট, স্মুদ ও গ্লোয়িং রাখতে দারুণ কাজ করে।
ঠোঁট সফট ও হাইড্রেটেড রাখে
সূর্যের UV rays যেমন আমাদের স্কিনের ক্ষতি করে, তেমনি ঠোঁটেরও ক্ষতি করে। এছাড়াও প্রতিদিন লিপস্টিক ইউজ করার কারণেও ঠোঁট ফেটে যায় ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ন্যাচারাল লিপবাম হিসেবে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু অ্যাপ্লাই করো এবং হালকাভাবে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করো। এতে ঠোঁট সফট, হাইড্রেটেড ও হেলদি থাকবে।
আরলি এইজিং প্রতিরোধ করে
এইজিং সাইন বা বয়সজনিত প্রভাব নিয়ে আমরা অনেকেই ভুল ভাবি। মনে করি নির্দিষ্ট বয়সের আগে আমাদের স্কিনে এসব প্রভাব দেখা যাবে না! কিন্তু গার্লস! প্রতিদিন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা, পলিউশন, মেকআপ ঠিকমতো ক্লিন না করা ইত্যাদি কারণে অনেক সময় ৩০-এর আগেই আমাদের স্কিনে এইজিং ইফেক্ট দেখা যায় এবং রিংকেলস, ফাইনলাইনের মতো প্রবলেম শুরু হয়।
এই আরলি এইজিং প্রতিরোধ করতে মধু খুব ভালো একটি সলিউশন! এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ, যা ফাইনলাইন, রিংকেলসের মতো এইজিং ইফেক্ট প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
দেখলে তো, মধু আমাদের স্কিনের জন্য ঠিক মধুর মতোই কাজ করে! এই ম্যাজিকাল ইনগ্রেডিয়েন্টটি তোমার বিউটি রুটিনে নিয়মিত ব্যবহার করো, আর ন্যাচারালি স্কিন রাখো হেলদি ও গ্লোয়িং।