সানস্ক্রিন ইউজেই কমবে স্কিন ড্যামেজ!

সানস্ক্রিন ইউজেই কমবে স্কিন ড্যামেজ!

ফিট ও হেলদি থাকার জন্য সানলাইটের ভিটামিন ডি অনেক হেল্পফুল। ঘরে থাকি বা বাইরে সানলাইট থেকে দূরে থাকা একেবারেই সম্ভব না। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট  নিয়ম মানলেই সানলাইটের বেনিফিট পাওয়া সম্ভব। তবে বিজি লাইফের কারণে তুমি হয়তো নিয়মগুলো মানতে পারো না। আর সে সুযোগেই হয় স্কিন ড্যামেজ। স্কিন ড্যামেজের পাশাপাশি বেশি রোদে হতে পারে স্কিন ক্যানসার ও আর্লি স্কিন এইজিং এর মতো প্রবলেমও। 

তাই কমপ্লিট সান প্রটেকশনের জন্য সানস্ক্রিন ইউজ খুবই ইম্পরট্যান্ট। জেনে নাও সানস্ক্রিন ইউজের বেনিফিট, না ইউজে স্কিনের ড্যামেজ, নিয়ম, কেমন টাইপের সানস্ক্রিন ইউজ করা ভালো এই বিষয়গুলো।

 

কারা ইউজ করবে 

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে সবারই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। যে কোনো বয়সের ছেলে, মেয়ে এমন কি ৬ মাসের বেশি বয়সী বেবিদের স্কিনেও সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা যাবে। আর তোমার স্কিনে যদি খুব তাড়াতাড়ি ট্যান হয়, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 

 

কোন টাইপের সানস্ক্রিন ইউজ করবে 

চিন্তা করছো এত অপশনের  মধ্যে তোমার জন্য পার্ফেক্ট সানস্ক্রিন কীভাবে বেছে নেবে? দ্যা স্কিন ক্যানসার ফাউন্ডেশন বলছে , ব্রড স্পেকট্রাম যাতে এসপিএফ (সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর) ১৫ বা এর বেশি আছে এমন সানস্ক্রিনই সব থেকে বেশি ইউজ হয় এবং সেইফ ও এফেক্টিভ প্রটেকশন দেয়। দুই রকম সানস্ক্রিন তুমি পাবে একটি হলো ফিজিক্যাল ও অন্যটি হলো কেমিক্যাল। তুমি  যদি দিনের বেশি সময়  ঘরেই থাকো তবে এসপিএফ ১৫ বা এর বেশি আছে এমন সানস্ক্রিন ইউজ করতে পারো। আর সানলাইটে খুব যাওয়া হলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি আছে এবং ওয়াটার রেসিস্টেন্ট সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে পারো। নিশ্চয়ই ভাবছো ওয়াটার রেসিস্টেন্ট সানস্ক্রিন কী? গরমে  ঘাম হলে বা পুলে সুইম করার পরও যে সানস্ক্রিনে এসপিএফ পরিমাণ মতো থাকে সেটাই হলো ওয়াটার রেসিস্টেন্ট সানস্ক্রিন।  

 

কত সময় পর পর ইউজ করবে 

সানস্ক্রিন শুধু একবার অ্যাপ্লাই করলেই তোমার স্কিন সেফ এমন ভাবলে কিন্তু ভুল করছো। কারণ ডার্মাটোলজিস্টরা বলছেন, স্কিনকে ড্যামজ ফ্রি রাখতে দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ইউজ করতে হবে।

 

sunscreen-reduces-skin-damage-02

 

ফাউন্ডেশন -ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন

ফাউন্ডেশন ইউজের আগে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে কয়েক মিনিট সেটা সেট হতে সময় দাও। এতে তোমার মেকআপের বেইজ আরো ভালো হবে আর তুমি বেস্ট রেজাল্টাটা পাবে। 

ময়েশ্চারাইজার না সানস্ক্রিন কোনটা আগে ইউজ করবে ভাবছ? এফেক্টিভ রেজাল্টের জন্য প্রথমে স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ইউজ করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারো। 

এছাড়া ভিটামিন সি সিরামের সাথে মিশিয়ে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করলে রেডিক্যালস ও আল্ট্রাভায়লেট লাইট থেকে অনেকটাই ফ্রি থাকা যায়। এছাড়া এটি এইজিং সাইন কমাতে ও তোমার স্কিন কমপ্লেকশন গ্লো করতে হেল্পফুল। 

 

ঘরেও সানস্ক্রিন ইউজ 

তুমি হয় তো চিন্তা করতে পারো ঘরে থাকলে স্কিন ড্যামেজ হবে না। আর এই কারণে সানস্ক্রিনও ইউজ না করলেও সমস্যা নেই। কিন্তু ডার্মাটোলজিস্টরা বলেন, জানালা বা দরজার স্ট্যান্ডার্ড গ্লাস শুধু মাত্র সানলাইটের ইউভিবি রে ব্লক করে কিন্তু ইউভিএ রে প্রোটেক্ট করে না। তাই কাঁচের জানালার কাছে বা বারান্দাতে গেলেও স্কিন বার্ন হয়। তার সাথে ডার্ক স্পট ও রিংকেলসের মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

 

বেনিফিটস 

স্কিন ক্যানসার প্রিভেন্টে হেল্প করে 

ইউভি রেডিয়েশন স্কিন ক্যানসারে রিস্ক বাড়ায়। তাই ইউভি রেডিয়েশন থেকে স্কিনকে প্রোটেক্ট করতে প্রতিদিন সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে  হবে। 

 

sunscreen-reduces-skin-damage-03

 

এজিং প্রবলেম প্রিভেন্ট 

আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন স্কিনের ৯০ ভাগ এজিং সাইনের একটা কারণ। তাই প্রতিদিন  সানস্ক্রিম ইউজে তোমার স্কিন হবে স্মুদ ও ইয়াংগার লুকিং। 

 

স্কিন হাইড্রেড করে

সানস্ক্রিন স্কিন ময়েশ্চারাইজ করতে হেল্প করে।  অনেক সানস্ক্রিনেই বাটার, আভাকাডো অয়েল, জোজোবা অয়েল, ও ভেজিটেবল গ্লিসারিন থাকে। 

 

স্পট ও ছোপ ভাব কমায়

সানস্ক্রিন ইউজে স্কিনের ব্রাউন স্পট কমে। এছাড়া স্কিনে ট্যানের কারণে হওয়া ছোপ ছোপ ভাব বা ডিসকালারেশন কমায়। এমন কি রেড ভেইন বা লাল শিরা দেখা যাওয়ার প্রবলেম কমাতেও হেল্প করে।  

তাহলে তো বুঝতেই পারছো সানলাইটের যেকোনো ড্যামেজ থেকে স্কিনকে প্রোটেক্ট করতে  নিয়মিত সানস্ক্রিন ইউজ মাস্ট!         


রিলেটেড পোস্ট