প্রেগনেন্সিতে পিম্পল ফ্রি স্কিন পাওয়ার সেইফ ও ন্যাচারাল উপায়!

প্রেগনেন্সিতে পিম্পল ফ্রি স্কিন পাওয়ার সেইফ ও ন্যাচারাল উপায়!

প্রেগনেন্সিতে অনেক ধরনের স্কিন প্রবলেম দেখা যায়। তার মধ্যে একটা হলো পিম্পল। কখনোই স্কিনে পিম্পল ও অ্যাকনে প্রবলেম ছিল না, এমন মেয়েরাও অনেক সময় প্রেগনেন্সিতে পিম্পল নিয়ে সাফার করে। এই সময়ে স্কিন খুব সেনসিটিভ হয়ে যায় তাই সব প্রোডাক্ট ইউজ করা উচিত না। এছাড়া কেমিক্যাল প্রোডাক্টের কারণে বেবির হেলথেরো ক্ষতি হতে পারে। তাই অ্যাকনে প্রবলেম কমানোর উপায়গুলো হতে হবে সেইফ আর ন্যাচারাল। এতে করে স্কিনের ড্যামেজও হবে না আবার তুমি পিম্পল ফ্রি স্কিনও পাবে।

 

নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা

প্রেগনেন্সিতে স্কিন ও স্ক্যাল্প দুই জায়গাতেই প্রচুর অয়েল জমে। আর এই কারণে পিম্পল সমস্যা বেড়ে যায়। তুমি হয়তো চিন্তা করছো, স্ক্যাল্পে অয়েল জমলে তা থেকে মুখে কীভাবে পিম্পল হয়? এই হিসেবটা খুবই সহজ। স্ক্যাল্পের অয়েল স্কিনে মিশে যায় আর এতে করে মুখের অয়েল বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার রাখা জরুরি। তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু না করতে চাইলে ড্রাই শ্যাম্পুও ইউজ করতে পারো।

 

প্রেগনেন্সি ফ্রেন্ডলি অ্যাকনে ফেসওয়াশ

এ সময়ে স্কিনে প্রেগনেন্সি ফ্রেন্ডলি ও মৃদু (gentle) ফেসওয়াশ ইউজ করতে হবে যা অ্যাকনেও কমায়। এমন অনেক ফেসওয়াশ আছে যা শুধুমাত্র প্রেগনেন্সির সময়ে স্কিনে ব্যবহারের জন্য বানানো হয়ে থাকে।

 

ময়েশ্চারাইজার

এ সময়ে ময়েশ্চারাইজার ইউজ করা খুবই দরকার। কারণ এটা স্কিনকে হেলদি রাখে। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজারের সাথে কয়েক ফোঁটা কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে নিতে পারো। আবার চাইলে অলিভ অয়েলও মিশাতে পারো। এতে তুমি সুদিং একটা ফিল পাবে আর স্কিন থাকবে হাইড্রেটেড।

 

ফেস মাস্ক

অ্যাকনে প্রতিরোধের জন্য শসা খুব ভালো একটা উপাদান। স্কিনকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটা পিম্পলও কমায়। এতে আছে সিলিকা, যা এক ধরনের মিনারেল। এই উপাদান স্কিনের টিস্যুকে স্ট্রং রাখে।

 

প্রোবায়োটিক ইউজ

প্রোবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, সিরাম আর স্প্রেতে থাকে। এটা স্কিনে গুড ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে আর খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে। স্কিনের পোর ক্লিন করা ও স্কিনের দাগ কমাতেও হেল্প করে। তুমি চাইলে প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল কোকোনাট অয়েলে বা ন্যাচারালি বানানো টকদইয়ের সাথে মিশিয়ে স্কিনে অ্যাপ্লাই করতে পারো।

 

টি ট্রি অয়েল ইউজ

টি ট্রি অয়েল অ্যাকনে ও দাগ কমাতে দারুণ কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা অ্যাকনে আর দাগ কমায়। টি ট্রি অয়েল সামান্য কোকোনাট অয়েল বা পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নাও। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অ্যাকনিতে ইউজ করতে পারো।

 

ন্যাচারাল ফেসপ্যাক

মধু, লেবু আর হলুদ পাউডার তোমার স্কিনের অ্যাকনে ও তার দাগ কমাতে হেল্প করবে।

যা যা লাগবে
- মধু ২ টেবিল চামচ
- কয়েক ফোঁটা লেবু
- হলুদ পাউডার এক চিমটি

সব উপাদানগুলো মিশিয়ে একটা পেস্ট করে নাও। এবার স্কিনে অ্যাপ্লাই করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলো। আর শেষে একটা ময়েশ্চারাইজার ইউজ করতে হবে।

দেখলেই তো সেইফ আর ন্যাচারাল উপাদান দিয়েই প্রেগনেন্সির সময়ে অ্যাকনে কমানো সম্ভব। অ্যামেজিং সব বেনিফিট পেতে এই ওয়েগুলো ট্রাই করতে পারো!


রিলেটেড পোস্ট