জিমের পরে স্যোয়েটি হেয়ার? জেনে নাও ৬টি সহজ সলিউশন!

জিমের পরে স্যোয়েটি হেয়ার? জেনে নাও ৬টি সহজ সলিউশন!

নিজেকে ফিট রাখার জন্য জিম বা ওয়ার্ক আউট খুব দরকার। কিন্তু জিমের পর অনেকেরই প্রচুর ঘাম হয়, এমনকি  তুমি ঘরে বসে হালকা ওয়ার্ক আউট করলেও ঘাম হতে পারে। এতে সব থেকে বেশি প্রবলেম হয় চুল  নিয়ে। কারণ স্ক্যাল্প ঘেমে গেলে হেয়ার ফল আর স্ক্যাল্পে ইরিটেশন হতে পারে। কিন্তু ওয়ার্ক আউট বন্ধ করলে তো চলবে না। তাই জেনে নিতে পারো জিমের পর স্যোয়েটি হেয়ার কীভাবে ম্যানেজ করবে। 

 

প্রতিদিন শ্যাম্পু না

প্রতিদিন জিম বা ওয়ার্ক আউটের পর শ্যাম্পু ইউজ করা যাবে না। কারন,শ্যাম্পু চুল ক্লিন রাখে কিন্তু বেশি ইউজে হেয়ার ও স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল ড্যামেজ হয় ও হেয়ার রাফ হয়ে যায়। সপ্তাহে ২/৩ বারের বেশি শ্যাম্পু করা একেবারেই ঠিক না। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজিং প্রোডাক্ট যেমন কন্ডিশনার, সিরাম ব্যবহার করতে পারো যেন হেয়ার হাইড্রেটেড থাকে। 

 

ড্রাই শ্যাম্পু  

স্যোয়েটি হেয়ার ম্যানেজের জন্য ড্রাই শ্যাম্পু হতে পারে তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাকে এটা ইউজ করতে হবে নিয়ম মেনে। ভেজা চুলে কোনো ভাবেই ড্রাই শ্যাম্পু অ্যাপ্লাই করা ঠিক না। এতে চুলে একটা আঠালো  ভাব আসতে পারে। তাই প্রথমেই একটা মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে  নিতে হবে। তারপর একটা ড্রায়ার দিয়ে ৩ মিনিট চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নাও। আরেকটা ইউজফুল টিপ হলো ওয়ার্ক আউটের আগে ড্রাই শ্যাম্পু ইউজ করা। তবে অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করা যাবে না। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার সাথে সাথেই জিম শুরু করতে ট্রাই করতে পারো। কারণ ড্রাই শ্যাম্পু তোমার স্ক্যাল্পে তৈরি হওয়া ঘাম কমাতে হেল্প করবে । 

 

কোল্ড ড্রায়ার

কোল্ড  ড্রায়ার হেয়ার ফ্রেশ রাখতে অনেকটাই হেল্প করতে পারে। ড্রায়ারকে কোল্ড সেটিং এ দিয়ে হেয়ার রুটে ও ঘাড়ের একটু উপরে ড্রাই করতে পারো। এতে ঘাম কমবে আর গরমে একটা সুদিং ফিলিং পাবে। 

 

আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে প্রোটেক্ট

ঘামে থাকা সল্ট তোমার হেয়ারকে ড্রাই করে ফেলে স্পেশালি তুমি যদি সান লাইটের কাছে ওয়ার্ক আউট করো। তাই অয়েল, সিরাম, আলট্রাভায়োলেট রে (ইউভি) প্রোটেক্ট করে এমন ইউভি স্প্রে করে হেয়ারকে হাইড্রেটেড ও কন্ডিশনড করে নিতে পারো।    

 

হেয়ার ফ্রেগ্রেন্স ইউজ

হেয়ার ফ্রেগ্রেন্স আছে এমন কন্ডিশনার বা ক্রিম চুল এলোমেলো না করে গোছানো ও হাইড্রেটেড রাখবে। এমন নারেশিং কন্ডিশনারে ক্যারাটিন, সিল্ক অয়েল ও শাইন ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে কিনা চেক করে নিতে পারো। আর এর ফ্রেগ্রেন্স বা ঘ্রাণ তোমার পছন্দ মতোই বেছে নাও। নারেশিং কন্ডিশনারের ফ্রেগ্রেন্স তোমার চুল রাখবে রিফ্রেশিং। 

 

হেয়ার টাচ না করা 

ওয়ার্ক আউটের সময়ে বার বার হাত দিয়ে হেয়ার টাচ করা যাবে না । এতে স্ক্যাল্পে অয়েল প্রোডাকশন বাড়ে।

ছেলেদের চুল সাধারণত ছোট হয় বলে, জিমের পর অনেকেই তেমন কেয়ার করো না। কিন্তু চুল ছোট হোক বা বড় কেয়ার না করলে ড্যামেজ হবেই। তাই ছেলেরা জিম শেষ করে সাথে সাথে শাওয়ারে না যাওয়াই ভালো। তাই প্রথমেই একটা তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে যতটা সম্ভব ঘাম মুছে নিতে হবে। এতে হেয়ার অনেকটাই ফ্রেশ থাকবে। এর পাশাপাশি অন্য টিপসগুলো ফলো করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।  

একটা হেলদি লাইফের জন্য জিম বা বাসায় ওয়ার্ক আউট খুবই জরুরি। কিন্তু এতে করে যেন হেয়ার ড্যামেজ না হয় তাই এই হেল্পফুল টিপসগুলো ফলো করতে পারো।  


রিলেটেড পোস্ট