সামারে চুলের ফ্রিজিনেস দূর করো ৫টি সহজ উপায়ে!

সামারে চুলের ফ্রিজিনেস দূর করো ৫টি সহজ উপায়ে!

পৃথিবীর অনেক দেশে সামার খুব এক্সাইটিং ওয়েদার হলেও আমাদের কাছে সামারটা কিন্তু বেশ টেনশনের! উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে সামারে হেয়ার ও স্কিন প্রবলেম অনেক বেড়ে যায়। আর এসময় হেয়ার প্রবলেমের কথা আসলে শুরুতেই আসে ফ্রিজি হেয়ার। ন্যাচারালি যাদের চুল কার্লি শুধু তারাই না, যাদের চুল মসৃণ, স্মুদ তারাও অনেক সময়  ফ্রিজিনেস নিয়ে স্ট্রাগল করে। একটু বাড়তি যত্ন নিলেই এ স্ট্রাগল সহজেই কমে যেতে পারে, আর প্রতিদিনই হতে পারে গুড হেয়ার ডে! 

 

শ্যাম্পুর পর রেগুলার কন্ডিশনার
 
চুল ফ্রিজি হওয়ার একটি বড় কারণ হলো ড্রাইনেস। চুল ড্রাই থাকলে বাতাস থেকে ময়েশ্চার আকর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ময়েশ্চার চুলের কিউটিকল (বাইরের লেয়ার) স্ফীত করে এবং চুল ফ্রিজি করে  ফেলে। কন্ডিশনার ড্রাই চুলে ময়েশ্চার লক করে হাইড্রেটেড রাখতে হেল্প করে। তাই শ্যাম্পুর পর তোমার কন্ডিশনার স্কিপ করার অভ্যাস থাকলে, তা অবশ্যই পাল্টাতে  হবে! একটা পার্ফেক্ট শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার চুলের ফ্রিজিনেস অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।  

ফ্রিজ ফ্রি চুল পেতে Tresemme Botanique Nourish and Replenish Shampoo & Conditioner ব্যবহার করতে পারো। এটি ফ্রিজিনেস দূর করতে চমৎকার কাজ করে এবং লং টাইম পর্যন্ত চুল ফ্রিজ ফ্রি রাখে। এর ন্যাচারাল অয়েলযুক্ত (অলিভ, ক্যামোমিল) ফর্মুলা চুল জেন্টালি ক্লিন করে নারিশড ও সফট রাখতে হেল্প করে।  

 

get-rid-of-frizzy-hair-in-summer-in-just-5-simple-ways-02

 

ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক

রেগুলার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ছাড়াও হেয়ার কেয়ার রুটিনে একটা ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক রাখতে ট্রাই করো। এতে চুল আরও বেশি হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড থাকবে। হাতের কাছের কিছু ন্যাচারাল উপাদান দিয়েই তুমি এ মাস্ক বানিয়ে নিতে পারবে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ফ্রিজিনেস ও ড্যামেজ দূর করে চুল সফট ও হেলদি রাখবে।     

যা যা লাগবে:
•    কলা ১টি
•    টক দই ২ টেবিল চামচ
•    মধু ১ টেবিল চামচ 

সব উপাদানগুলো একসাথে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নাও। সম্পূর্ণ চুলে মাস্কটি অ্যাপ্লাই করো। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করতে হবে। কলা চুলের কন্ডিশনিং-এ ম্যাজিকের মতো কাজ করে! এতে থাকা ন্যাচারাল অয়েল, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, এবং ভিটামিন চুলে ময়েশ্চার লক করে এবং ফ্রিজিনেস কমায়। টক দই এ প্রচুর পরিমাণ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা চুলের ডালনেস ও ড্যামেজ কমায়। 

 

মাইক্রোফাইবার টাওয়েল 

ভেজা অবস্থায় চুল সবচেয়ে বেশি নরম ও দুর্বল থাকে। তাই শক্ত কটন টাওয়েল ব্যবহার করলে চুলে অনেক বেশি ঘর্ষণ হয়। এতে চুল ভেঙে যায় ও আরও বেশি ফ্রিজি হয়ে পরে। তাই একটি মাইক্রোফাইবার টাওয়েল ব্যবহার করতে ট্রাই করো। হাতের কাছে মাইক্রোফাইবার টাওয়েল না থাকলে কটন টিশার্টও ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, এগুলোর ফেব্রিক অনেক সফট ও চুলের জন্য কম ক্ষতিকর। 

 

get-rid-of-frizzy-hair-in-summer-in-just-5-simple-ways-03

 

মাসকারা ওয়ান্ড টাচ আপ 

মাসকারা ওয়ান্ড! এটি ফ্রিজি চুল ফিক্স করার খুবই ইন্টারেস্টিং একটি টিপস! একটি পরিষ্কার  মাসকারা ওয়ান্ড বা টুথব্রাশে অ্যালকোহল ফ্রি হেয়ার স্প্রে বা ড্রাই অয়েল স্প্রে করে নাও। এবার ফ্রিজি এরিয়াতে হালকা করে টাচ আপ করো। এতে ফ্রিজি চুল সহজেই ফিক্স হয়ে যাবে! 

 

সিল্ক পিলোকাভার   

সিল্ক পিলোকাভারে ইনভেস্ট করা একটু বাড়তি মনে হলেও, বিলিভ মি! এটি চুলের ফ্রিজিনেস ও আগা ফাটা কমাতে অনেক হেল্পফুল। কটন পিলোকাভারে চুলে অনেক ঘর্ষণ হয়, এবং এটি ন্যাচারাল  ময়েশ্চার অ্যাবজর্ব করে চুল ড্রাই করে ফেলে। এবং চুলে ফ্রিজিনেস, জট ও ভেঙে যাওয়ার মতো প্রবলেম  শুরু হয়। কিন্তু সিল্ক ফাইবার তুলনামূলক স্মুদ ও নরম ল, তাই ঘর্ষণের পরিমাণ অনেক কমে যায়। এছাড়াও কটনের তুলনায় ময়েশ্চার অনেক কম অ্যাবজর্ব করে তাই চুলের ড্যামেজও কম হয়।  

সবশেষে, চুলের ফ্রিজিনেস কমাতে এসবের পাশাপাশি আরেকটি অভ্যাসও তোমাকে পাল্টাতে   হবে। আর সেটা হলো বারবার চুলে হাত দেয়া! কারণ, বারবার টাচ করা ও ব্রাশ করার মানে ঘর্ষণ বেশি হওয়া, যার ফলে চুল আরও ফ্রিজি হয়ে যায়!   


রিলেটেড পোস্ট