স্কিনের যত্নে তো অনেক কিছুই ইউজ করা হয়। কিন্তু স্কিন টাইপ সেনসিটিভ হলে, কিছু অ্যাপ্লাইয়ের আগে সচেতন থাকা উচিত। কারণ নতুন কোনো প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করলে অনেক সময় সেনসিটিভ স্কিনে র্যাশ ও ইরিটেশন হতে পারে। তবে র্যাশ শুধু কোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরই হয় এমন নয়। ধুলোবালি, ওয়েদার, রোদ এসব কারণেও র্যাশ হতে পারে। এছাড়া ভ্রু থ্রেডিং করার সময়ও অনেকের র্যাশ ও লালচে ছোপ দেখা যায়। তাই তোমার স্কিন এমন সেনসিটিভ হলে, কোনো প্রোডাক্ট ইউজের আগে টেস্ট করে সিওর হয়ে নাও তা স্কিনে র্যাশ ও ইরিটেশন তৈরি করে কি না। আর র্যাশ কমানোর সহজ সলিউশন হিসেবে এই ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্টগুলো ট্রাই করতে পারো।
লেবুর রস
লেবুর রসে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উপাদান আছে। যা স্কিনের ব্যাকটেরিয়া ও র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। চলো জেনে নেই, র্যাশ কমাতে লেবুর রস কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হয়।
যা যা লাগবে
১/২ লেবুর রস
সমপরিমাণ পানি
প্রথমে একটা বাটিতে অর্ধেকটা লেবুর রস নিয়ে নাও। এরপর এতে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে নাও। এবার কটন বল এতে ভিজিয়ে র্যাশের জায়গায় অ্যাপ্লাই করো। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলো।
গ্রিন টি
গ্রিন টির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান স্কিনের র্যাশ কমায় এবং ঠান্ডা অনুভূতি দেয়।
যা যা লাগবে
গ্রিন টি ১ টেবিল চামচ
গরম পানি ১ কাপ
প্রথমে এক কাপ গরম পানিতে গ্রিন টি দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দাও। এটা ঠান্ডা হলে কটন বল ভিজিয়ে র্যাশের জায়গায় অ্যাপ্লাই করো। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলো। বেস্ট রেজাল্ট পেতে প্রতিদিন একবার অ্যাপ্লাই করতে পারো।
মিন্ট ও হলুদ
মিন্ট ও হলুদ সেনসিটিভ স্কিনের র্যাশ প্রবলেম কমাতে চমৎকার দুইটি ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্ট।
যা যা লাগবে
মিন্ট পাতা/ পুদিনা পাতা ১ মুঠো
হলুদ গুড়া সামান্য পরিমাণ
প্রথমে পুদিনা পাতা পেস্ট করে নিতে হবে। এবার এতে সামান্য হলুদ গুড়া ও কিছুটা হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশিয়ে নাও। এবার পেস্টটা মুখে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলো।
স্কিন কেয়ারে প্রাচীনকাল থেকেই হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ শুধুমাত্র একটা নয় বরং স্কিনের প্রায় সব ধরনের প্রবলের সলিউশন। তাই প্রতিদিনের ক্লিনজিং-এ Lifebuoy Soap Bar Turmeric and honey ট্রাই করতে পারো। এতে আছে হলুদ আর মধুর গুণাগুণ যা ন্যাচারাল জার্ম প্রটেক্টর হিসেবে সুপরিচিত।
র্যাশের কারণে স্কিনের হেলথ ও সৌন্দর্য দুটাই নষ্ট হয়। আর স্কিন ইরিটেশনের কারণে পড়তে হয় অস্বস্তিতে। তাই ন্যাচারালি র্যাশের প্রবলেম দূর করতে চাইলে টিপসগুলো ফলো করতে পারো!