“স্কিন ভালো রাখতে হলে, খরচ তো হবেই” আমরা অনেকেই লাইফে এমনটা শুনেছি! তাই আমাদের ধারণা স্কিন কেয়ার মানেই খুব এক্সপেন্সিভ কিছু। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কিছু স্কিন কেয়ার আছে, যার পেছনে কোনো খরচেরই দরকার হয় না! আজকে তোমাদের সাথে এমনই কিছু স্কিন কেয়ার টিপস শেয়ার করবো। যেগুলো তোমার স্কিনও ভালো রাখবে, সাথে পকেটও!
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির অভাবে স্কিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। যার ফলে ড্রাইনেস, রাফনেস, ইরিটেশন, এমনকি রিংকেলসও হতে পারে। স্কিন হাইড্রেটেড, হেলদি ও প্রবলেম ফ্রি রাখতে ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও ফ্লুইড রাখতে চেষ্টা করো। এতে শুধু তোমার স্কিন না, হেলথও ভালো থাকবে।
এড়িয়ে চলতে হবে চিনি!
মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেকেরই খুব প্রিয়। কিন্তু স্কিন ভালো রাখতে ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিতে হবে! কারণ অতিরিক্ত চিনি আমাদের স্কিনের ইলাস্টিন ও কোলাজেন ভেঙে দেয়। এর ফলে স্যাগি স্কিন (চামড়া ঝুলে যাওয়া) ও রিংকেলস দেখা যায়। এছাড়া চিনি অ্যাকনে ও পিম্পলের কারণ।
বালিশের কাভার নিয়মত পাল্টাতে হবে
স্কিন কেয়ার রুটিনের একটা ইম্পর্ট্যান্ট পার্ট হলো, বালিশের কাভার নিয়মিত পালটানো। মনে মনে হয়তো ভাবছো, “বালিশের কাভারের সাথে স্কিন কেয়ারের কী সম্পর্ক!”
বালিশের কাভার নিয়মিত পাল্টানো হেলদি স্কিনের একটা বড় সিক্রেট। কারণ, প্রতিদিন আমাদের ফেস থেকে ডার্ট, ঘাম, অয়েল ও ব্যাকটেরিয়া বালিশের কাভারে ট্রান্সফার হয়। এছাড়া ধুলোবালিও জমে থাকতে পারে। আর এটা হতে পারে তোমার ফেস-এর অ্যাকনে ও পিম্পলের বড় কারণ।
ঘুমাতে হবে সোজা হয়ে
অনেকেরই একপাশ হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস। কিন্তু একপাশ হয়ে ঘুমালে, সারারাত ধরে ফেস-এর উপর প্রেশার পড়ে। আর এতে স্কিনে রিংকেলস দেখা যায়। তাই ফেস-এর উপর প্রেশার কমাতে, সোজা হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করো।
ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া
আরেকটি খুব সহজ স্কিন কেয়ার টিপস হলো, ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া। ঠান্ডা পানি স্কিনের ইনফ্ল্যামেশন (জ্বালা, ফোলা) কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া এটি স্কিনের পোরস টাইট করতেও হেল্পফুল।
স্কিন ভালো রাখতে সবসময় অনেক টাকা খরচ করতে হয়, এই ধারণাটা ভুল। এই সহজ টিপসগুলো ফলো করে স্কিন রাখতে পারো হেলদি ও প্রবলেম ফ্রি।