জেনে নাও ময়েশ্চারাইজারের ম্যাক্সিমাম বেনিফিট পাওয়ার ৫টি দারুণ সিক্রেট!

জেনে নাও ময়েশ্চারাইজারের ম্যাক্সিমাম বেনিফিট পাওয়ার ৫টি দারুণ সিক্রেট!

ময়েশ্চারাইজার আমাদের বিউটি রুটিনের সবচেয়ে বেসিক এবং ইম্পর্ট্যান্ট প্রোডাক্ট। হাইড্রেশনের উপর স্কিন সুন্দর ও হেলদি থাকা অনেকটাই নির্ভর করে। আর প্রোপার ময়েশ্চারাইজিং আমাদের স্কিন হাইড্রেটেড রাখে। এছাড়াও স্কিন ড্রাই, খসখসে হয়ে যাওয়া এবং  ফাইনলাইন এসব প্রবলেম থেকে স্কিনকে প্রোটেক্ট করে। তাই ময়েশ্চারাইজিং হলো স্কিন কেয়ার রুটিনের 101!     

অনেকেই মনে করে, “ময়েশ্চারাইজিং! এটা তো খুবই সিম্পল ব্যাপার, দিনে কয়েকবার অ্যাপ্লাই করলেই হলো”। একটু খেয়াল করে দেখো, আমি কিন্তু প্রোপার ময়েশ্চারাইজিং-এর কথা বলেছি! কারণ, ময়েশ্চারাইজার সঠিকভাবে অ্যাপ্লাই না করলে এর তেমন কোনো বেনিফিট পাওয়া যায় না। চলো জেনে নেই ময়েশ্চারাইজারের মেক্সিমাম বেনিফিট পাওয়ার ৫টি সিম্পল টিপস!

 

ময়েশ্চারাইজিং করো দিনে অ্যাটলিস্ট দুইবার  

প্রতিদিন কতবার ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করবে, তা তোমার ক্লিনজিং রুটিনের উপর ডিপেন্ড করে। স্কিন বিশেষজ্ঞ সাধারণত দিনে দুইবার মুখ ধোয়া সাজেস্ট করে। তাই প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিবে।

 

অ্যাপ্লাই করো হালকা ভেজা স্কিনে

এটা ময়েশ্চারাইজিং এর অনেক ইফেক্টিভ একটি টিপস! ধোয়ার পরপর স্কিন যখন হালকা ভেজা থাকে, তখনই ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নাও। কারণ ভেজা স্কিন ময়েশ্চারাইজারের হাইড্রেশন ভালোভাবে অ্যাবজর্ব করতে পারে। আর রাতে ঘুমানোর আগে একটু ভারী ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করতে ট্রাই করো। এতে সারারাত ধরে স্কিন ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং সকালে উঠে তুমি পাবে সফট ও স্মুদ স্কিন!

 

know-the-5-secrets-of-getting-the-maximum-benefit-of-moisturizers-02

 

শুরু করো লাইট টেক্সচার প্রোডাক্ট দিয়ে 

স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করার সময় কিছু নিয়ম ফলো করে সবচেয়ে ইফেক্টিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়! শুরুতে লাইট টেক্সচার প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করো, এরপর তুলনামূলক হেভি টেক্সচার প্রোডাক্ট।    

নিশ্চই ভাবছো –“এর কারণ কী?” কারণ  লাইট টেক্সচার যেমন টোনার, সিরাম ও এসেন্স  এগুলোর মলিকিউলস খুব ছোট হয়। তাই এগুলো খুব সহজে স্কিনের গভীরে যেতে পারে এবং স্কিন ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে হেল্প করে। এবার আসি হেভি টেক্সচার প্রোডাক্টে! একটু হেভি টেক্সচার প্রোডাক্ট যেমন ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম আগের স্টেপে অ্যাবজর্ব হওয়া ময়েশ্চার লক ও প্রোটেক্ট করতে হেল্প করে।

 

know-the-5-secrets-of-getting-the-maximum-benefit-of-moisturizers-03

 

ম্যাসাজ করো নিচ থেকে উপরের দিকে

বয়সের সাথে সাথে আমাদের স্কিনে এইজিং ইফেক্ট যেমন রিংকেলস, স্কিন নিচের দিকে নেমে  আসা এসব অনেক প্রবলেম শুরু হয়। এছাড়াও গ্র্যাভিটি আমাদের স্কিন নিচের দিকে টানে। তাই নিচ থেকে উপরের দিকে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই ও ম্যাসাজ করে এই ইফেক্ট কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।  আর এই ম্যাসাজ লি , স্কিনের রক্ত চলাচল ব বাড়াতে এবং ফোলা ভাব  কমাবে। এছাড়াও এটি স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ভালোভাবে অ্যাবজর্ব করতে হেল্প করবে।

 

ময়েশ্চারাইজার আগে না সানস্ক্রিন ?

এই কমন কনফিউশন আমাদের সবার মধ্যেই কাজ করে। আশাকরি, আজকের পর থেকে তোমার আর এটা নিয়ে কনফিউশন থাকবে না!

সানস্ক্রিন কখনই ময়েশ্চারাইজারের আগে অ্যাপ্লাই করা উচিত না। কারণ এর SPF স্কিনের অ্যাবজর্ব করার পাওয়ার ব্লক করে দেয়। আর স্কিন তখন ময়েশ্চারাইজারের হাইড্রেশন অ্যাবজর্ব করতে পারে না। তাই ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই সানস্ক্রিনের আগে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

প্রোপার ময়েশ্চারাইজিং-এর জন্য এই সিম্পল ও ইফেক্টিভ টিপসগুলো ফলো করো। আর তোমার ফেভারিট ময়েশ্চারাইজার থেকে পাও ম্যাক্সিমাম বেনিফিট! 


রিলেটেড পোস্ট