চুলের জন্য আর্গান অয়েল আসলেই কি ভালো?

চুলের জন্য আর্গান অয়েল আসলেই কি ভালো?

একসময় অয়েল বলতে আমাদের মাথায় আসতো কোকোনাট বা অলিভ অয়েলের কথা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিউটি ট্রেন্ডে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেইসাথে এসেছে অনেক নতুন নতুন হেয়ার বা স্কিন কেয়ার অপশনও। আর এই বিউটি ট্রেন্ডে ন্যাচারাল অয়েল অনেক বড় একটা জায়গা জুড়ে আছে। তেমনি একটি ন্যাচারাল অয়েল হলো আর্গান অয়েল। এই আর্গান অয়েল তৈরি হয় মরোক্কান আর্গান গাছের নির্যাস থেকে। অসংখ্য বিউটি বেনিফিটের কারণে একে “লিকুইড গোল্ড” নামেও ডাকা হয়।  চলো জেনে নেই এই লিকুইড গোল্ড বা আর্গান অয়েল চুলের জন্য কী বেনিফিট দেয়।

 

Argan-oil-for-your-hair-02


চুল নারিশ ও শাইনি করে
ন্যাচারালি চুল নারিশ ও শাইনি করার একটি ইফেক্টিভ উপায় হলো আর্গান অয়েল। এতে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে, যা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত নারিশ করে। তাই এখন অনেক  হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট তাদের আসল উপাদান হিসেবে আর্গান অয়েল ব্যবহার করছে।

 

চুলের গ্রোথ বাড়ায়  
আর্গান অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ফেনল নামক উপাদান থাকে যা স্ক্যাল্প হেলদি রাখে। আর এটি শুধু হেয়ার গ্রোথ বাড়ায় না, সাথে  চুল হেলদি ও ঘন করতেও হেল্প করে।

 

ড্যামেজ চুল রিপেয়ার করে   
হেয়ার কালার, অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং এসব কারণে অনেকের চুল ড্রাই ও ড্যামেজ হয়ে ভেঙে যায়। এবং অনেক কিছু ট্রাই করেও চুল হেলদি অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। তাই চুল রিপেয়ার করার ন্যাচারাল সলিউশন হতে পারে আর্গান অয়েল। এর চমৎকার নারিশিং উপাদান প্রতিটা চুল আলাদাভাবে নারিশ করে। আর চুলের গভীরে গিয়ে রিপেয়ার করে।

 

স্ক্যাল্প ইনফেকশন কমায় 

ড্রাই, ইচি স্ক্যাল্প, ড্যানড্রাফ ও স্ক্যাল্প ইনফেকশনের মতো সমস্যা কমাতেও আর্গান অয়েল খুব ভালো কাজ করে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, যা স্ক্যাল্পের ইনফ্ল্যামেশন কমিয়ে রিলাক্সড রাখে।

 

আর্গান অয়েল কীভাবে ব্যবহার করতে হয়? 
আর্গান অয়েলের এতোসব বেনিফিটের কথা তো জানলে। এখন চলো এটি ব্যবহারের কিছু নিয়ম জেনে নেই।

 

Argan-oil-for-your-hair-03

 

লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবে
আর্গান অয়েল ব্যবহার করার একটি সহজ ও ইফেক্টিভ উপায় হলো লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার  করা। প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোমতো চুল ধুয়ে নাও। এবার কটন টাওয়েল বা টিশার্ট দিয়ে চুলের অতিরিক্ত পানি মুছে ফেলো। এবার ২-৩ ফোঁটা আর্গান হয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে চুলে ম্যাসাজ করো। ধুয়ে ফেলার   প্রয়োজন নেই। এভাবে প্রতিবার চুল শ্যাম্পু করার পর লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবে আর্গান অয়েল ব্যবহার করতে পারো।

 

আর্গান অয়েল হেয়ার মাস্ক  
আর্গান অয়েল হেয়ার মাস্ক হিসেবেও অ্যাপ্লাই করা যায়। সমপরিমাণ আর্গান অয়েল ও কোকোনাট অয়েল একসাথে মেশাও। এবার চুল ভালোমতো ব্রাশ করে জট ছাড়িয়ে নাও। সম্পূর্ণ চুলে ও স্ক্যাল্পে অ্যাপ্লাই করে আবার ব্রাশ করো, এতে তেলটা চুলে ভালোমতো মিশে যাবে। এবার হেয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে দাও আর ৩০ মিনিট এভাবে অপেক্ষা করো। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলো।

 

হিট প্রটেকশন হিসেবে 
হিট স্টাইলিং করার আগে, হিট প্রোটেকশন হিসেবে চুলে আর্গান অয়েল অ্যাপ্লাই করে নিতে পারো। 

সবশেষে আর্গান অয়েলের আরেকটি চমৎকার ব্যাপার হলো এটি চুলই শুধু গর্জিয়াস রাখে না, পাশাপাশি স্কিনও রাখে ফ্ললেস! তাই একটা ন্যাচারাল অয়েল দিয়েই তুমি তোমার স্কিন ও চুলের টেক্ কেয়ার করতে পারবে সহজেই।     
স্কিনের জন্য আর্গান অয়েলের চমৎকার কিছু বেনিফিট জানতে ক্লিক করোঃ (স্কিন কেয়ার রুটিনে আর্গান  অয়েল কেন রাখা উচিত? Article link) 


রিলেটেড পোস্ট