গরমেও পা থাকবে ন্যাচরালি সুন্দর ও ফ্রেশ

গরমেও পা থাকবে ন্যাচরালি সুন্দর ও ফ্রেশ

প্রতিদিনই বাড়ছে গরম। গরমে সাধারণত স্যান্ডেল বা ওপেন টাইপ জুতা বেশি পরা হয়। তাই সূর্যের কড়া তাপে, ময়লা আর ঘামের কারণে পায়ে সৌন্দর্য ধরে রাখা কঠিন। সব মিলিয়ে পায়ের স্কিন হয়ে ওঠে রাফ আর ড্রাই। আর গরমে পা ঘেমে আসতে পারে বাজে গন্ধও। তাই পিকচার পার্ফেক্ট পায়ের স্কিনের জন্য প্রতিদিনই কিছু না কিছু যত্ন জরুরি।    

ভারী ময়েশ্চারাইজ ইউজ        

আমাদের পায়ের গোড়ালির ইউজ অনেক বেশি। যার কারণে পায়ের বাকি অংশের তুলনায় এই অংশটি সহজে ড্রাই হয়ে যায়। আর এখানের স্কিনও কিছুটা মোটা হয়। তাই ময়েশ্চারাইজার সহজে ভিতরের দিকে প্রবেশ করে না। যার কারণে পায়ের এই অংশে খুব ভারি ময়েশ্চারাইজার ও পরিমানেও অনেক বেশি ইউজ করতে পারো। 
পায়ের ময়েশ্চারাইজার লক করতে গোসলের পরপরই লোশন বা অয়েল ইউজ করে ফেলতে পারো। আরো ভাল রেজাল্টের জন্য ঘুমানোর আগেও একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার দরকার। 

সানস্ক্রিন ইউজ   

অনেকেই পায়ে ভালো মানের সানস্ক্রিন ইউজ করে না। আর এটিকে বড় ধরনের কোন ভুলও মনে করে না। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারে শুধুমাত্র ত্বকের প্রটেকশন হয় তা নয়, নখের উপকারও হয়। নখের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে ও এর গ্রোথ ঠিক রাখতে সানস্ক্রিন মাস্ট। সূর্যের কড়া রোদ, বালু আর বাতাসের নখের ড্যামেজ হয়। যা নখের গ্রোথ নষ্ট করে। তাই পায়ের সাথে সানস্ক্রিনের থাকতে হবে প্রতিদিনের কানেকশন। 

পা খোলা রাখা  

গরমে পা সারা দিন বন্ধ রাখা যাবে না। এতে পায়ে ঘাম হয়ে দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। এ ছাড়া পায়ে বাতাস লাগলে পায়ে ফ্রেশ একটা ফিল পাওয়া যাব। 

naturally-beautiful-and-fresh-feet-during-summer-02
 

সপ্তাহে অন্তত একবার এক্সফোলিয়েট 

এক্সফোলিয়েটে পায়ের ড্রাইনেস কমে আর স্কিন হয় স্মুথ। এ ছাড়া ত্বকের ডেডসেল ক্লিন হওয়ার পর ময়েশ্চারাইজার পায়ের জন্য খুব উপকারি। কিন্তু পায়ের ত্বক খুব বেশি ড্রাই হলে লবণ আছে এমন স্ক্রাবার না কিনে চিনি আছে এমন স্ক্রাবার ইউজ করতে পারো। কারন লবণ স্কিন ডিহাইড্রেট করে দেয়। 

পাউডার ইউজ একদম নয়! 

তোমার হয় তো মনে হতে পারে পাউডারে স্কিন ফ্রেশ থাকে, ঘাম কমে। কিন্তু পায়ে পাউডার ব্যবহারে ঘামে আরো গন্ধ হয় বেশি। এ ছাড়া পাউডার গলে পা আরো বেশি আঠালো হয়ে যাবে।

বরফ পানিতে ভেজানো 

বাইরের গরম, ময়লা আর ঘামে পায়ের স্কিনের ন্যাচারাল ফ্রেশ ভাবটা নষ্ট হয়। এছাড়া কড়া রোদে পায়ের চামড়া লাল হয়ে ইচিংও হয় অনেক সময়ে। তাই বাইরে থেকে এসেই বরফ দেয়া ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে পারো কিছু সময়। এতে পায়ের ফ্রেশনেসও পাবে আবার পায়ের  আরামও হবে। 
 
মুখের বা হাতের স্কিনের যত্ন নেয়া হলেও পায়ের স্কিনের যত্নে কিন্তু কমই সময়ই দেয়া হয়। আর যত্নের অভাবে ড্যামেজগুলো পায়ে স্থায়ী হয়ে যায়। তাই গরমে পায়ের যত্নে কয়েকটি টিপস আজ থেকে ফলো করতে শুরু করতে পার।  


রিলেটেড পোস্ট