পারফেক্ট মেকআপের অনেকটাই ডিপেন্ড করে একটা পারফেক্ট ফাউন্ডেশনের উপর। কিন্তু পারফেক্ট ফাউন্ডেশন খুঁজে পাওয়াটা অনেকের জন্যই বেশ ডিফিকাল্ট। স্কিন টোনের সাথে মিলিয়ে সঠিক শেড কোনটি, স্কিন টাইপ অনুযায়ী টেক্সচার কি হওয়া উচিত, এরকম হাজারটা কনফিউশন!
তাই এসব কনফিউশন দূর করতে, আজকে আমি তোমাদের সাথে কিছু দারুণ টিপস শেয়ার করবো। যেগুলো ফলো করলে তোমার পারফেক্ট ফাউন্ডেশনটি সিলেক্ট করতে পারবে খুউউউউব সহজে!
অনলাইন শপিং-এ সতর্ক থাকো!
অনলাইন শপিং তোমার লাইফে কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আমি জানি। কিন্তু! একদম নিশ্চিত না হলে এবং এর আগে ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার না করলে, অনলাইন থেকে কেনা এড়িয়ে চলো। কারণ অনলাইন শেড সোয়াচ অনেক সময় ভুল হতে পারে।
টেস্ট করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো
অনেকেই ফাউন্ডেশন টেস্ট করে সাথে সাথেই কিনে ফেলে। কিন্তু আমার সাজেশন হলো, টেস্ট করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো। কারণ ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পর, এটি স্কিনের অয়েলের সাথে মিশে ও বাতাসে অক্সিডাইজ হয়ে যায়। এতে শেডের কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। তাই টেস্ট করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভালোমতো নিশ্চিত হয়ে নাও।
অতিরিক্ত লাইট থেকে সাবধান
অনেক সময় অতিরিক্ত লাইটের কারণে ফাউন্ডেশনের আসল শেড বোঝা যায় না। তাই চেষ্টা করো ন্যাচারাল/সান লাইটে ফাউন্ডেশনের শেডটি দেখে নিতে।
জ-লাইনে টেস্ট করো
পারফেক্ট শেডের ফাউন্ডেশন পাওয়ার আরেকটি ইম্পর্ট্যান্ট টিপস হলো জ-লাইনে টেস্ট করা। কারণ জ-লাইনে তোমার স্কিনের আন্ডারটোন সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। এবং তুমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ফাউন্ডেশনটি তোমার স্কিন টোনের জন্য পারফেক্ট কি না।
ফাউন্ডেশন হতে হবে স্কিন টোনের চেয়ে এক বা দুই শেড লাইট
কেউ বলছে, “ফাউন্ডেশন হতে হবে স্কিন টোনের চেয়ে হালকা, আবার কেউ বলছে স্কিন টোনের সাথে পারফেক্ট ম্যাচ ”। এসব কনফিউশন এড়াতে এখন থেকে এই সিম্পল টিপসটি মাথায় রাখো।
বিউটি এক্সপার্টদের মতে, ফাউন্ডেশন সবসময় স্কিন টোনের চেয়ে এক বা দুই শেড হালকা হওয়া উচিত। কারণ তুমি যখন ব্রোঞ্জার বা কন্টোর অ্যাপ্লাই করবে, তখন তা ফাউন্ডেশনের সাথে মিশে তোমাকে একটা পারফেক্ট শেড দিবে। আবার দিনের বেলা ফাউন্ডেশন বাতাসের সাথে মিশে অক্সিডাইজ হয়ে যায়। তাই এক বা দুই শেড হালকা হলে, অক্সিডাইজ হওয়ার পরও এর রঙ ঠিক থাকে।
মিলিয়ে নাও তোমার স্কিন টাইপের সাথে
প্রতিটা বিউটি প্রোডাক্টের মতো, ফাউন্ডেশনও হতে হবে তোমার স্কিন টাইপ অনুযায়ী। অয়েলি স্কিনের জন্য অয়েল ফ্রি, লাইট ওয়েট ও ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন সবচেয়ে ভালো সিলেকশন। আর স্কিন টাইপ ড্রাই হলে হাইড্রেটিং ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করো। আর তোমার স্কিন টাইপ যদি সেনসিটিভ হয়, তাহলে ফাউন্ডেশনটি হাইপো-এলার্জিক কি না দেখে নাও। কোনো মেকআপ বা বিউটি প্রোডাক্টের গায়ে হাইপো-এলার্জিক লিখা থাকার মানে হলো, এটি অন্যান্য প্রোডাক্টের তুলনায় স্কিনে কম এলার্জিক রিয়েকশন তৈরি করে।
সঠিক ফাউন্ডেশন খুঁজে পাওয়াটা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু আমার এই টিপসগুলো ফলো করলে তোমার পারফেক্ট ফাউন্ডেশনটি সিলেক্ট করতে পারবে একদম সহজে।