
প্রেগনেন্সিতে মেয়েদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তন ত্বকেও দেখা যায়। ড্রাইনেস, স্ট্রেচ মার্ক,ডালনেস সহ আরও নানা রকম স্কিন প্রবলেম হয়। এই সময় ফেস ও বডিতে সব ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যায় না। কেননা একেক ধরণের প্রোডাক্টে একেক রকম কেমিক্যাল থাকে। আর প্রেগনেন্সিতে অনেক ধরণের কেমিক্যালই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ময়েশ্চারাইজার ক্রিম প্রেগনেন্সিতে ব্যবহার করার জন্য সেইফ একটা প্রোডাক্ট। ময়েশ্চারাইজার কোন কোন সমস্যার সমাধান করে চলো দেখে নেই।
১। ড্রাই স্কিনের জন্য
প্রেগনেন্সিতে যাদের ত্বক ড্রাই হয়ে যায় তাদের নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক কোমল থাকবে আর রুক্ষতাও দূর হবে। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখে। কারো স্কিন অয়েলি হলে জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২। হাত ও পায়ের জন্য
হাত ও পায়ের ত্বকও প্রেগনেন্সিতে ড্রাই হয়ে যায়। এজন্য প্যারাফিন-ফ্রি ও ইউরিয়া বেসড থিক ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ট্রাই করতে পারো।
স্ট্রেচ মার্কের জন্য
প্রেগনেন্সিতে স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় প্রায় সবাইকেই ভুগতে হয়। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার ফলে স্ট্রেচ মার্কের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, শিয়া বাটার, অ্যালো ভেরার মতো যেকোনো উপাদান সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারো। ক্রিম ছাড়াও কিছু ময়েশ্চারাইজিং অয়েলও পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও ট্রাই করতে পারো।
ইচিনেস কমানোর জন্য
প্রেগনেন্সিতে ইচিনেসও বেশ কমন। প্যারাফিন মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের ইচিনেস প্রশমিত হবে।
ডালনেস দূর করার জন্য
প্রেগনেন্সিতে সঠিক যত্নের অভাবে প্রায়ই চেহারা মলিন হয়ে যায়। এই মলিনতা দূর করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।