একজেমা সমস্যা কমবে ৬টি ন্যাচারাল উপায়ে!

একজেমা সমস্যা কমবে ৬টি ন্যাচারাল উপায়ে!

সেনসিটিভ স্কিন মানেই অনেক ধরনের প্রবলেম। পলিউশন, জার্ম, বাইরের ময়লা বা কোনো প্রোডাক্ট স্কিনে সহ্য না হলে স্কিন লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া, চুলকানোসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়। এছাড়া খাবারের  কারণেও সেনসিটিভ স্কিনে প্রবলেম দেখা দিতে পারে। একজেমা স্কিনের এমনই একটা সমস্যা। স্কিন ফাটা, লাল হওয়া ও চুলকানোর সমস্যা হলেই বুঝতে হবে এটি একজেমা। একজেমা বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে খুব কমন একটি কারণ হলো ময়লা, জার্ম ও স্কিন কেয়ার না করা। এছাড়াও বলা যায় যখন স্কিন প্রটেক্ট করার উপাদান স্কিনে কমে যায় তখনই একজেমা দেখা দেয়। বিশেষ করে মুখে, হাতে, পায়ে, কনুই ও ঘারের পিছনে একজেমার সমস্যা বেশি হয়।  একজেমার প্রথম লক্ষণ হলো চুলকানি হওয়া। অনেক সময়ে র‍্যাশ হওয়ার আগেও স্কিন চুলকানি হতে পারে। এরপর স্কিন ড্রাই হওয়া, র‍্যাশ তৈরি হওয়ার মতো প্রবলেম দেখা দেয়। যা স্কিনকে রাফ করে তোলে। এছাড়া চামড়া ওঠা, স্কিন লাল হওয়ার সমস্যাও হয়।  

একজেমা কোনো নির্দিষ্ট  সময় দেখা দেয় এমন নয়, তবে শীতে স্কিনে ময়েশ্চার কমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তবে ন্যাচারাল উপকরণ দিয়েই একজেমা কমানো সম্ভব। চলো জেনে নেই এই ন্যাচারাল উপাদানগুলো কী কী! 

 

কোকোনাট অয়েল

কোকোনাট অয়েল একটা ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার। এটি স্কিনের ব্যাকটেরিয়া ও ইনফেকশন কমাতে হেল্প করে। একজেমা কমাতে রাতে ঘুমানোর আগে কোকোনাট অয়েল ম্যাসাজ করো, এবং সকালে ধুয়ে ফেলো। 

 

6-natural-ways-to-treat-eczema-02

 

অ্যালোভেরা জেল 

অ্যালোভেরা জেল একজেমার জন্য বেশ ভালো। এর হিলিং উপাদান স্কিন স্মুদ করে ও ড্যামেজ কমায়। প্রথমে মুখ ক্লিন করে মুছে নিতে হবে। এবার স্কিনের যেসব জায়গায় একজেমা আছে, সেখানে অ্যালোভেরা জেল অ্যাপ্লাই করো। ৩ মিনিট রেখে ভালোমতো ধুয়ে নাও। 

 

মধু 

মধু স্কিন হিল করে। এছাড়া এটি স্কিনের জ্বালা ভাব কমাতে ও ময়েশ্চারাইজড করতে হেল্প করে। স্কিনের যে স্থানে একজেমার সমস্যা রয়েছে সেখানে মধু অ্যাপ্লাই করলে বেনিফিট পাওয়া যাবে।   

 

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল স্কিনের চুলকানি, ড্রাইনেস ও ইনফেকশন কমায়। তবে ইউজের সময়ে টি ট্রি অয়েলের সাথে আমন্ড বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে। 

 

6-natural-ways-to-treat-eczema-03

 

টকদই ও মধুর ফেইস প্যাক

মুখের স্কিনের একজেমা প্রবলেম কমাতে এই ফেইস প্যাকটি দারুণ কাজ করে। 

যা যা লাগবে  
- টকদই ২ টেবিল চামচ
- মধু ১ টেবিল চামচ

দুইটি উপাদান মিশিয়ে একটা পেস্ট করে নিতে হবে। এবার সার্কুলার মোশনে মুখে পেস্টটা অ্যাপ্লাই করতে হবে। এভাবে ২০ মিনিট রাখতে হবে। শেষে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

 

রিলাক্স করা 

এই টিপসগুলো ফলো করার পাশাপাশি, আরেকটি ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। তা হলো নিয়মিত রিলাক্স করা। কারণ, অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে একজেমার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। নিয়মিত মেডিটেশন, ডিপ ব্রেথ, ইয়োগা ,গান শুনা এগুলো স্ট্রেস কমিয়ে তোমাকে রিলাক্সড করতে সাহায্য করবে। 

শীতে স্কিনের আদ্রতা অনকটাই কমে যায়। তাই এ সময়ে একজেমার প্রবলেম যেন না বাড়ে, তাই এই টিপসগুলো ফলো করতে পারো! 


রিলেটেড পোস্ট