৫টি ইফেক্টিভ টিপসে প্রেগনেন্সির জার্নিটা হোক আরও সুন্দর!

৫টি ইফেক্টিভ টিপসে প্রেগনেন্সির জার্নিটা হোক আরও সুন্দর!

প্রেগনেন্সির সময় বডিতে হরমোনাল পরিবর্তন খুব ন্যাচারাল। আর এই পরিবর্তনের কারণে স্কিন ও চুলেও বিভিন্ন প্রভাব দেখা যায়। এসময় কারও কারও স্কিন অনেক গ্লোয়িং ও সুন্দর হয়ে যায়, আবার কারও ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো! পিম্পল, স্কিনে অতিরিক্ত অয়েল এসব নিয়ে অনেকেই সাফার করে। এছাড়া স্ট্রেচ মার্ক তো আছেই! তোমার প্রেগনেন্সির সময়টা কমফোর্টেবল এবং আরও সুন্দর করে তুলতে আজকে আমি ৫টি ইফেক্টিভ টিপস শেয়ার করবো।


স্কিন ও বডি হাইড্রেটেড রাখো

হেলদি স্কিন বা হেলদি বডি, নিয়মিত হাইড্রেশন ছাড়া কোনোটাই সম্ভব না। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, হাইড্রেটিং ফ্রুটস একদম মাস্ট! এগুলো স্কিনের ডালনেস ও টায়ার্ডনেস কমিয়ে, ফ্রেশ রাখবে। সাথে তোমার ও বেবির দুইজনের হেলথই ভালো থাকবে। এছাড়া ডায়েটে পর্যাপ্ত পানি বডি টক্সিন কমাতেও অনেক সাহায্য করে।

 

Tips-for-expecting-Moms-02


স্ট্রেচ মার্ক কমাতে অয়েল ম্যাসাজ

প্রেগনেন্সিতে স্ট্রেচ মার্ক খুব কমন স্কিন প্রবলেম। শুরু থেকে স্ট্রেচ মার্কের টেক কেয়ার না করলে, অনেক সময় তা পার্মানেন্টলি থেকে যায়। তাই প্রেগনেন্সির শুরু থেকেই বডিতে নিয়মিত নারিশিং অয়েল যেমন; কোকোনাট, অলিভ ম্যাসাজ করতে পারো। এতে স্কিনে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে এবং স্ট্রেচ মার্ক হালকা হবে।


প্রেগনেন্সি অ্যাকনে কমাবে মধু

এসময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্কিনে সিবাম প্রোডাকশন বেড়ে যায়, আর স্কিন পোরস বন্ধ হয়ে পিম্পল ও অ্যাকনে তৈরি হয়। অ্যাকনের ন্যাচারাল সলিউশন হিসেবে মধু ব্যবহার করতে পারো। এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে যা পিম্পল ও অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কন্ট্রোল করে। সাথে স্কিন ঠান্ডা ও রিলাক্সড রাখে।   
প্রথমে ভালোমতো ফেস পরিষ্কার করে নাও, এবার মধু অ্যাপ্লাই করে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো।

 

Tips-for-expecting-Moms-03


পোশাক হতে হবে কমফোর্টেবল

প্রেগনেন্সির সময়টা সব মেয়ের জন্য খুব সুন্দর একটা জার্নি। তবে অনেকেই এসময় তাদের পোশাক নিয়ে কিছুটা টেনশনে থাকে। এসময় অবশ্যই কমফোর্টেবল পোশাক পরতে হবে। কমফোর্টেবল ম্যাটারিয়াল ও ডিজাইনের ড্রেস তোমার সহজ মুভমেন্টে সাহায্য করবে। আর সুন্দর কালার মুডও ভালো রাখবে।


ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট ও কালার অ্যাভয়েড করো

এসময় চুলে ক্যামিকেল কালার ও ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে চলাটা সেইফ। কারণ ক্যামিকেল রিয়েকশনে অনেক  সময় বেবির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও ইরিটেশনর সম্ভাবনা তো আছেই।

সবশেষে, বিউটি এবং ফিটনেস একটা আরেকটার কাছাকাছি। তাই ডাক্তারের পরামর্শমতো প্রতিদিন হালকা এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন করতে চেষ্টা করো। এক্সারসাইজ বডি টক্সিন ও স্ট্রেস কমায়, আর  ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।


রিলেটেড পোস্ট